ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সরাইল উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণের সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম। সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নুরূজ্জামান লস্কর তপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সহসভাপতি মো. আনিছুল ইসলাম ঠাকুর। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, জেলা বিএনপি’র সহসভাপতি আনিছুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক আলী আজম, বিএনপি নেতা আবুল বাশার, আলাউদ্দিন পলাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান শাহীন, সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলী ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে জিয়া পরিবারকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। জুলাই আগষ্টের বিপ্লব করে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতা ভোগ করার মত অধিকার এখনো পায়নি। দেশ পরিচালনার জন্য আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা আমাদেরকে প্রতিপক্ষ করছেন। ড. ইউনুছ সাহেব আমরা শুধু নির্বাচন চাই। এই দেশের ৫০টি দল নির্বাচন চাই। আপনার কাজ হচ্ছে একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিবেন। কিন্তু ড. ইউনুছ সাহেব ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরূদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার সুব্রত বাইনকে দিয়ে তারেক রহমানকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আল্লাহর রহমতে তারেক বেঁচে গেছেন। তারেক রহমান কেন দেশে আসছেন না। আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। আজকে ফেইক আইডিতে আমাদের দলের ও নেতৃবৃন্দের বিরূদ্ধে বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই ফেইক নয়। সাহস থাকলে আসুন সামনে এসে কথা বলুন। আমরাও কথা বলি। আমরা বুক চিতিয়ে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই। সংস্কারের নামে সরকার দীর্ঘসূত্রিতা করছেন। মনে রাখবেন সংস্কারের দোহায় দিয়ে নির্বাচন আটকে রাখা যাবে না। সংসদ ছাড়া সংস্কার করা যায় না। আজকে দেশে চুরি ডাকাতি ছিনতা বেড়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মূল কারণ হচ্ছে নির্বাচিত সরকার নেই। সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। তাই দয়া করে দ্রূত নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করূন। সবশেষে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয় করা হয়।