বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বললেন,
“সাধারণের জীবনযাত্রার মান মাথায় রেখেই বাজেট নির্ধারণ করা উচিৎ। যেই বৈষম্যহীন সমাজের জন্য আন্দোলন হয়েছে, তার প্রতিফলন এবারের বাজেটে নেই। বর্তমান সরকার ব্যাংক খাতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। আর কর ফাঁকি দেয়াদের পুরষ্কৃত করা, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকল্প বন্ধ বা পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও নেই বাজেটে।”
আমীর খসরু মাহমুদ আরও যোগ করে বলেন,
“জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় বিনিয়োগ করতে আস্থা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। বিশাল সুদের সঙ্গে অতিরিক্ত কর ও শুল্ক শিল্পে চাপ সৃষ্টি করবে। অনলাইন ব্যবসায় শুল্ক বাড়ানোতে চাপ বাড়বে উদ্যোক্তাদের ওপর। সরকার গঠনের ১৮০ দিনের পরিকল্পনা সরকার গঠনের আগেই জানাবে বিএনপি। পূর্বের সরকারের মতো কাগুজে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে এবারের বাজেটে। অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষায় সব ধরনের কর মওকুফ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় বহুভাষা শেখানোর বিষয় যুক্ত হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের টেকনিশিয়ান কোর্সও চালু করবে বিএনপি।”