পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই

ভূরুঙ্গামারীতে অবাধে চলছে মিনি পাম্পে জ্বালানি তেল বিক্রি

এফএনএস(এস. এম গোলাম মোস্তফা; ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম) | প্রকাশ: ৪ জুন, ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
ভূরুঙ্গামারীতে অবাধে চলছে মিনি পাম্পে জ্বালানি তেল বিক্রি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সড়কের পাশে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশে মিনি পাম্পে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল । আবাসিক এলাকা ও সরকারী   রাস্তার ধারেই ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন। এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। এসব পাম্পে অবৈধ উপায়ে ভেজাল তেল সরবরাহে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গড়ে উঠা এসব মিনি জ্বালানী তেলের পাম্প গড়ে উঠায় অগ্নিকান্ডের ঝুকি বাড়ছে। উপজেলার সোনাহাট ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন মোঃ হজরত আলীর মেসার্স রাকিবুল ট্রেডাস, সিরাজুল ইসলামের রাজু ট্রেডার্স ও কেদার  দারুসসুন্নত দাখিল  মাদ্রাসা সংলগ্ন মোঃ আবু হাসানের মেসার্স হাসান ট্রেডার্স নাম দিয়ে প্রতিদিন প্রতিটি মিনি পাম্পে  গড়ে ৩০০ লিটার জ্বালানী বিক্রি করে আসছে। এসব পাম্পে ভেজাল তেল সরবরাহের যেমন আশঙ্কা আছে, তেমনি আছে নিরাপত্তাঝুঁকিও। সরকারীভাবে নিরাপত্তাঝুকির কারণে ২০১৫ সাল থেকে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ জ্বালানি তেলের পাম্প নির্মাণে নির্দিষ্ট পরিমান জমি,নিজস্ব ভবণ থাকার কথা থাকলেও এসব মিনি পাম্পগুলো সরকারী রাস্তার ধারেই ঘর ভাড়া নিয়ে মিনি পাম্প স্থাপন করে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ব্যবসা। নিয়মানুযায়ী সীমান্ত এলাকায়  তেলের  পাম্প স্থাপনে বিধি নিষেধ থাকলেও তারা অমান্য করে এই অবৈধ ব্যবসা দেদারসে চালিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট নেই এদের কোন তথ্য। হাসান ট্রেডার্স মিনি পাম্পের উদ্যোক্তা আবু হাসান জানান,  আমি বিগত ১ বছর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে আসছি তবে এখনও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইনি।  বিস্ফোরক পরিদপ্তর,ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স,বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে জানান, সীমান্ত ও আবাসিক এলাকার সরকারী রাস্তার পাশে মিনি পাম্প স্থাপন করে জ্বালানি তেল বিক্রির কোন অনুমোদন দেয়া হয়না। তবে মিনি পাম্প ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাঁরা নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন। সব অনুমোদন আছে। তারা ডিলারদের কাছ থেকে তেল এনে মজুত করে বিক্রি করেন বলে দাবী করলেও মিনি পাম্পের মালিকরা সরাসরি জ্বালানি তেল কোম্পানীর ডিলার না হওয়ায় ভেজাল জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বিক্রি ও ওজনে কারচুপি করে আসলেও এসব অনিয়ম দেখার সুযোগ না থাকায় এসব মিনি পাম্প থেকে জ্বালানি তেল ক্রেতারা প্রতারিত হয়ে আসছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম ফেরদৌস বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে  শীঘ্রই মিনি পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে