জাল সনদ দিয়ে একটি কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরি বাগিয়ে নেওয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একেএমএ আউয়াল এর স্ত্রী লায়লা পারভীন এর নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুর এর উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট মঙ্গলবার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জাল সনদ সৃজন, চাকুরী দেওয়া ও সরকারী টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করায় লায়লা পারভীনের স্বামী একেএমএ আউয়াল ও ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকেও আসামী করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজটিতে ২০১৩ সালে পাস কোর্স চালু হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে সরকারী করণ করা হয়। আসামী লায়লা পারভীনের স্বামী গভর্ণিং বডির সভাপতি এবং লায়লা পারভীন নিজে দাতা সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদপত্র ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ লাভ করেন।
লায়লা পারভীনের এসএসসি সনদ (ক্রমিক নং-১৫৩২৭, রেজিঃ নং-৫৭৩২১/১৯৭৭, রোল-রাজৈর নং-৭৭৮৭৩), এইচএসসি সনদ (ক্রমিক নং-৪৪৯০৪, রেজিঃ নং-৭৬৫৮/১৯৭৯, রোল নং-মাদারী-৪৪০৫০) বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে দুদক জানতে পারে বোর্ডের রেকর্ডে ওই নামে বা নাম্বারে কোন মিল খুজে পাওয়া যায়না। একইভাবে ১৯৮৪ সালে মাদারীপুর সরকারী নাজিমুদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতক পাশের যে সনদপত্র তিনি ব্যবহার করেছেন সেই নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো সনদপত্র ইস্যু করা হয়নি।
স্বামী আউয়ালের প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভূয়া সনদপত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে কলেজটির প্রভাষক হিসেবে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আসামী করা হবে।