নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,
“প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়ে নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতীক কোনো দলকে দিলে সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে আরপিও অনুযায়ী। দলটি প্রতীকসহ নিবন্ধন পাবে। আদালতের একটি ফুল কোর্ট সভা সিদ্ধান্ত এবং সেটার আলোকে এই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি বাতিল করা হয় ২০১৬ সালে। এটি ছিল একটি প্রশাসনিক পত্র। যেটা রেজিস্ট্রারের মাধ্যেমে তদানীন্তন নির্বাচন কমিশন পেয়েছেন এবং সেটার আলোকে এ ব্যবস্থা নিয়েছিল।”
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও যোগ করে বলেন,
“কিন্তু আমাদের সামনে জামায়াতে ইসলামের যে আবেদন ছিল সে আবেদনের সঙ্গে একটি রিট পিটিশন এবং তার আদেশ আমাদের কাছে এসেছে। সেটাতে রিট পিটিশন করা হয়েছে ২০০৬ এ। এটাতে দাড়িপাল্লা যাতে কোনো দলের দালীও প্রতীক না হতে পারে যেহেতু এটা আদালত একটি ন্যায় বিচারকের প্রতীক এই মর্মে একটি আপিল দাখিল করা হয়েছিল। সেই আপিলটা সেই সময় আদালত খারিজ করে দেন এবং এখানে তারা বলেছেন এটি নির্বাচিন প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করার কারণে কোনোভাবেই এটা আদালতের মান ক্ষুন্ন করবে না। এ রায়টি আমাদের জানা মতে এখনও বলবৎ আছে।”
‘এই সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াতে ইসলামের দাঁড়ীপাল্লা প্রতীক ফিরে পাবে। অর্থাৎ, তারা তাদের দলীও প্রতীক ও নিবন্ধন ফেরত পাবে। তবে দলীও প্রতীকটি পেতে একটু সময় লাগবে। একটু দাপ্তরিক প্রক্রিয়া আছে, এসআরও করতে হবে একটু সময় লাগবে। তারপর আমরা বরাজনৈতিক দলের জন্য প্রতীক আরও বাড়াচ্ছি। আমাদের ৬৯টি প্রতীক আছে এটাকে ১০০টি প্রতীকে নিতে চাই আমরা। এই পুরোকাজ এক সঙ্গে হবে-যোগ করেন তিনি।