ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে বিএনপি সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এফসিএ দীর্ঘ ৯ বছর কারান্তরীণ থাকায় অনেকগুলো ঈদ তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পরিবার পরিজন নিয়ে এবারের ঈদুল আযহার ঈদ উদযাপন করবেন। সীতাকুণ্ড কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করবেন। এবারের ঈদে কেন্দ্রীয় এই নেতার বাড়িতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে। জানা যায়, চট্টগ্রামের জনপ্রিয় নেতা আন্দোলন সংগ্রামের রোল মডেল অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী ২০১৩/১৪ সালে রাজপথে সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ব রোড কুড়িল এলাকা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতাকে পরিকল্পিত মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই সময় থেকে টানা দীর্ঘ প্রায় ৯ বৎসর কারাগারে আটক ছিলেন। জুলাই বিপ্লবের সরকার পতনের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। দীর্ঘ বছর কারাগারে আটক থাকাকালীন সময় বিএনপির সর্বোচ্চ ত্যাগী এই নেতার দুই ভাই সরকারি নির্যাতনের শিকার হয়ে স্টক করে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই সময় দুই ভাইয়ের মুখখানা শেষবারের মতো দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্যারোলি মুক্তির জন্য আবেদন করলেও অবৈধ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার কারান্তরীণ বিএনপির এই নেতাকে মুক্তি দেয়নি। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দৈনিক আমার দেশকে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ভাই ৯ বছরে অনেকগুলো ঈদ জেলখানার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। দীর্ঘ বছর পর হলেও পরিবার পরিজন পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন এজন্য তিনি মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করেন।