নোয়াখালীর সেনবাগে চামড়া সিন্ডিকেটের কবরে পড়ে পুজি হারিয়ে হতাশায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল মৌসুমী চামড়ার ব্যবসায়ীরা। শনিবার ঈদুল আযাহা উপলক্ষে কোরবানী করা পশুর চামড়াগুলো গ্রাম থেকে সংগ্রহ করে মৌসুমী ব্যবসায়য়ীরা। কিন্ত তাদেরক্রয় করা চামড়া গুলো বাজারে তোলা হলেও কোর ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা। তারা জানান, সরকারের দেওয়া মূল্য লবন ছাড়া ঢাকার বাহিরে প্রতিবর্গ ফুট ৫৫টাকার হারে প্রতিটি চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্ত মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কিছু লাভের আশায় গ্রাম থেকে প্রতিটি চাড়মা ৪শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত করে। চামড়া গুলো বাজারে নিয়ে এলে চামড়া সিন্ডিকেট আড়তদারা প্রতিটি চামড়ার মূল্য জানায় ২থেকে ৩শত টাকা দরে। কিন্ত গ্রাম থেকে অতিরিক্ত দরে চামড়া কিনে এনে সরকার বির্ধারিত মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েদে দেখা গেছে। শনিবার ঈদুল আযাহার দিন সন্ধ্য্য়া সেনবাগ উপজেলা ছরিম মুন্সির হাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে শতশত চামড়া নিয়ে বসে আছে মৌসুমী চামাড় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোন ক্রেতা নেই। কিছু সংখ্যক ক্রেতা আসলেও তারা সিন্ডিকেট করে চামড়া গুলো মূল্য দিচ্ছে ২শত টাকা থৈকে ৩শত টাকা। এতে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা দেখা দেয় তারা কান্ন্য়া ভেঙ্গে পড়েন। কয়েকজন ব্যবসায়ী চামড়া বিক্রি করতে না পারায় সিএনজি চালিত অটো রিকশা যোগ অন্য বাজারে ছুটতে দেখা গেছে। চামড়া ব্যবসায়ী মোঃ আলী হায়দার, ইয়ারপুর গ্রামের জহির উদ্দিন, মহিদীপুর,আবু তাহের, বালিয়াকান্দী গ্রামের মনির আহমেদ,শায়েস্তানগর গ্রামের মো ফারুক ও সফি উল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই বাজারের চামড়া ক্রেতা আড়ত দাররা চামড়া গুলো ক্রয় করছেনা। চামড়া ক্রেতা মোঃ আবদুল খালেক, মোঃ আজাদ ও জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে জানান,বিগত সময় তারা চামড়া কিনে হেমায়েতপুর ট্যানারী চামড়া সরবরাহ করে কিন্তু চামড়ার টাকা না দেওয়া তারা এ বছর চামড়া ক্রয় করছেননা। কিছু চামড়া কিনলেও তারা মূল্য দিচ্ছে ২শত টাকা থেকে ৩শত টাকা দরে।