কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর এলাকায় রেলওয়ে ব্রীজ সংলগ্ন খালে ঝাঁপ দেয়া কারিমা আক্তার (১৪) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর লাশ একদিন পর উদ্ধার হয়েছে। রোববার সকালে খালের পানিতে ভাসতে দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। কারিমা আক্তার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার হাসনাগ্রামের বাসিন্দা মো. হারুন মিয়ার ছোট মেয়ে। তিনি কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কারিমা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে বেশীর ভাগ সময়ে ঘরে আটকে রাখা হতো। ঈদের দিন তাকে মুক্ত করে দিলে সে দিক হারা ছুটাছুটি করতে থাকে। তাকে আটকানোর জন্য তার মা ও পিছু নেয়। এ অবস্থা দেখে মেয়ের মামাসহ আরো কয়েকজন মেয়েকে আটকানোর জন্য দৌড়াতে থাকে। কিন্তু বাড়ি থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে একটি খালে গিয়ে ঝাপ দেয় সে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন পানিতে নেমে খোঁজা খোজি করে। পরে সৈয়দ আসাদুজ্জামানের নেতৃতে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দলও সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু উদ্ধার করতে পারেনি। রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয় জনগণ ওই খালে কিশোরীর লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। চান্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জল মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজনসহ ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। রোববার সকালে কিশোরী কারিমা আক্তারের লাশ ভেসে উঠে। শুনেছি মেয়েটি দীর্ঘদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। কটিয়দী ফায়ারসার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমরা প্রায় ৩ঘন্টা চেষ্টা করি। রোববার মেয়েটির লাশ ভেসে উঠার সংবাদ পাই।