গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বাণিজ্য মেলায় আগত এক সেনা সদস্যের মোটর সাইকেলের নাম্বার সুইং লাইট ভাঙ্গার ঘটনায় ঝগড়ার ভিডিও করার কারণে ওই সেনা সদস্যের স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে আয়োজিত বাণিজ্য মেলার গেটের সামনে গত রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সেনা সদস্যের স্ত্রী মোছাঃ রিতু বর্ণা বাদী হয়ে চার জনের নামে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের বাসা থেকে সেনা সদস্য মোঃ নূরুজ্জামান সাদা পোষাকে তার স্ত্রী—সন্তানদের নিয়ে কাপাসিয়া বাণিজ্য মেলায় আসেন। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি পার্কিং এলাকায় রেখে ভিতরে প্রবেশ করেন। মেলায় বেশ কিছু সময় কাটিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফিরে যাবার সময় তার মোটর সাইকেলের নাম্বার সুইং লাইট ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা লোকদের কাছে এর কারণ জানতে চান। কিন্তু তারা এর কোনো সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে উত্তেজিত আচরণ শুরু করলে তার স্ত্রী রিতু বর্ণা এ ঘটনার ভিডিও করতে শুরু করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ভিডিও করতে নিষেধ করলেও ভিডিও বন্ধ না করায় তার সাথে ধস্তাধস্তি ও মারপিট শুরু করে। তখন তার স্বামী ও আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত চার জনের নামে তিনি বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেন। আসামীরা হলেন— কাপাসিয়া মধ্যপাড়ার ইমাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ মহিবুর রহমান, তার ছেলে মোঃ মিশাল, মাহাবুবুর রহমানের ছেলে জোনায়েদ ইসলাম ও মোশারফ হোসেনের ছেলে নাহিদ ইসলাম।
এব্যাপারে বাণিজ্য মেলার পার্কিং সংশ্লিষ্ট
মহিবুর রহমান জানান, পার্কিং করা একজন ব্যক্তির একটি মোটরসাইকেলের নাম্বার সুইং লাইট ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি একপর্যায়ে সমাধান হয়েছিল। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সাজিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। আটককৃত জোনায়েদ ইসলামকে আদালত সোমবার বিকালে জামিন দিয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং এজাহারভুক্ত আসামী জোনায়েদ ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।