খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদের খেয়াঘাটে ট্রলারে বেশী যাত্রী উঠানো নিয়ে পারাপার যাত্রীদের সাথে মাঝিদের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হামলায় দুই পারাপার যাত্রী গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৯ জুন) দুপুর পৌণে ২ টার সময় দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদের খেয়াঘাটে খেয়া নৌকার মাঝি বাবর আলীর পুত্র রাজু আহমেদ (২৫) ও তার ছোট ভাই সোহেলসহ ১০-১২ জন খেয়া নৌকার লোক খেয়া পার যাত্রী দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের বাবুল শেখের পুত্র আরিফ হোসেন (২০) ও আলী আকবর মল্লিকের পুত্র আব্দুল আলীম (২১)কে মারপীট করে মাথা ফাটাসহ রক্তাক্ত জখম করে। লোকজন তাদের উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রত্যাক্ষদর্শী ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, খেয়া নৌকা পারাপারের সময় ১২ জন যাত্রী হলে নৌকা ছাড়ার নিয়ম ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। ঘটনার সময় দুপুরের প্রচন্ড রোদের মধ্যে খেয়া নৌকায় দাঁড়ানো লোকজন নৌকার মাঝি রাজু আহমেদকে বলে যে ১২ জন লোকতো হয়েছে, নৌকা ছাড়েন। নৌকার মাঝি রাজু জানায় যে ৩০ জন লোক না হলে নৌকা ছাড়বো না। পরবর্তীতে খেয়া যাত্রী ও মাঝিদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার মাঝি রাজু আহমেদ ভিকটিমদের নৌকার ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার লোহার হ্যান্ডেল দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে তাদের মাথা ফাটাসহ রক্তাক্ত জখম হয়। তখন মাঝির পক্ষে ১০/১২ জন লোক ভিকটিমদের আক্রমণে অংশ নেয় বলে জানা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিঘলিয়া থানায় কোনো পক্ষ মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেনি। দিঘলিয়া থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।