বরিশালের মুলাদীতে হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতাকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের বিরোধ নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা ভিএম নাহিদ হাসানকে মারধর করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বাটামারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভিএম নাহিদ হাসান বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামের মো. মহসিন ভূইয়ার ছেলে এবং বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সদস্য। সোমবার সন্ধ্যায় সেলিমপুর বাজারে গিয়ে তিনি যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন।
ভিএম নাহিদ হাসান জানান, সোমবার বিকেল বাটামারা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা চলাকালীন যুবলীগ নেতা রিপন ও তার জামাতা রাকিব রাড়ি লোকজন নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। মাঠের পাশে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তাদের বিরোধ মিমাংশা করে দেওয়া হয়।
খেলা শেষে সন্ধ্যার পরে বাজারে গেলে রিপন ও রাকিব তাকে (নাহিদকে) কথা শোনার জন্য ডেকে নেন। চায়ের দোকানের সামনে পৌছলে যুবলীগ নেতা রিপন, রাকিব, শহীদুল হাওলাদার, ছাত্রদল কর্মী সুমন হাওলাদার, হারুন সরদারসহ ১০-১১জন এলোপাথারি পিটিয়ে, কিলঘুষি দিয়ে মারাত্মক আহত করেন। পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই সময় স্থানীয়রা রিপনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এঘটনায় নাহিদের মা শিল্পী বেগম বাদী হয়ে ১০জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আহত ছাত্রদল নেতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই ঘটনায় রিপন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।