কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভ্যাপসা গরমে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জৈষ্ট প্রায় শেষের পথে আর মাত্র এক দিন পর আষাঢ় মাস। এই সময়ে এসে তাপমাত্রা কমার কথা কিন্তু ঘটছে তার উল্টো। চিলমারী উপজেলার উপর দিয়ে মাঝারী ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ উপজেলায় ভ্যাপসা গরমে জন-জীবন অতিষ্ঠ। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, গত কাল শুক্রবার এ এলাকায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকলেও বাতাসে আদ্রতা বেশী থাকায় ঘরে-বাইরে প্রচন্ড গরম অনুভুত হচ্ছে। অনেকে গরম থেকে বাঁচার জন্য নেমে পড়ছে পুকুর ও নদীতে। টানা সাত দিন তাপ প্রবাহের কারনে প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তাদের অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে কাজ কর্ম সারছেন। তবে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ। ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে তা চলে সন্ধা পর্যন্ত। তীব্র তাপদাহের কারনে দিন মজুর, রিক্সা চালক , চিলমারী নৌবন্দরের কুলি ও ভ্যান চালকরা কাজ করতে পারছেন না। জীবিকার তাগিদে অনেকেই তীব্র গরমে কাজে বের হলেও টিকতে পারছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গরম জনিত রোগীর সংখা দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি, কাশি, জ্বর সহ বিভিন্ন গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজার ভিটা এলাকার রিক্সা চালক মোঃ জয়নাল আবেদিন জানান, ইতি পূর্বে যাহা ইনকাম করেছিলাম তা ঈদে বাজার সদায় করে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করে শেষ করেছি। বর্তমানে প্রচন্ড গরমের ফলে আর ইনকাম করতে পারছিনা স্ত্রি ও তিন সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতি পাত করছি।