মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি সামরিক হামলায় একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর শুক্রবার (১৩ জুন) ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নতুন প্রধান নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর।
আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাতে জানা যায়, নিহত কমান্ডার হোসেইন সালামির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পাকপুরকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নতুনভাবে নিযুক্ত হয়েছেন মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি। তিনি সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির স্থলাভিষিক্ত হলেন।
এই পরিবর্তন আসে এমন এক সময়, যখন শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। এই হামলায় নিহত হন— আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দফতরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ, কমপক্ষে ছয়জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী সহ আইআরজিসি’র ২০ জ্যেষ্ঠ কমান্ডার।
এই হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-তে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি বলেন,
“ভোরবেলায় ইহুদিবাদী সরকার আমাদের প্রিয় দেশের বুকে তার রক্তাক্ত ও কলুষিত হাত বিস্তার করেছে। আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে তারা তাদের বর্বর স্বভাব আরও স্পষ্ট করেছে। এই ঘৃণ্য হামলার উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে হবে।”
নিয়োগপত্রে খামেনি নিহত জেনারেলদের ‘গৌরবময় ও মর্যাদাপূর্ণ শাহাদাত’-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং নতুন কমান্ডারদের ‘প্রশংসনীয় সেবা ও মূল্যবান অভিজ্ঞতা’র কথা তুলে ধরেন।
এই ঘটনার পর থেকে ইরানে রাজনৈতিক ও সামরিক অঙ্গনে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিও এখন নতুন মোড় নিচ্ছে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।