তারেক-ইউনূসের বৈঠক গণতন্ত্রের পথে ‘স্বস্তির বার্তা’: শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশ: ১৪ জুন, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
তারেক-ইউনূসের বৈঠক গণতন্ত্রের পথে ‘স্বস্তির বার্তা’: শামসুজ্জামান দুদু

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার বৈঠককে ‘গণতন্ত্রের পথে স্বস্তির বার্তা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। তাদের মতে, এই বৈঠক জনগণের আশার প্রতীক এবং গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

শনিবার (১৪ জুন) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এই মন্তব্য করেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠক জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে এবং তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

দুদু বলেন, “এই বৈঠক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নতুন গতি ও উচ্চতা তৈরি করেছে। এটি ছিল জাতির প্রয়োজন ও প্রত্যাশিত একটি পদক্ষেপ।” তিনি দুই নেতাকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “এটি দেখিয়েছে, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।”

প্রসঙ্গত, বিএনপির এই নেতা গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে—এটা যেমন সত্য, তেমনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে সেই অভ্যুত্থানের পূর্ণতা আসবে না।”

তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। “শেখ হাসিনা ভোটের নামে প্রতারণা করেছেন। একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন যেখানে লাইন থাকলেও প্রকৃত ভোটগ্রহণ হয়নি,” বলেন দুদু।

আলোচনায় শামসুজ্জামান দুদু প্রতিবেশী ভারতের ভূমিকা নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন। তার ভাষায়, “যে দেশ নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে, তারাই হাসিনার জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই দেশটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শক্তি হয়ে উঠেছে। আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।”

দুদু মনে করেন, দেশে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দল থাকলেও নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে একটি মৌলিক ঐক্য রয়েছে। “সবাই নির্বাচন চায়, কেউ আগে, কেউ পরে। কিন্তু কেউ নির্বাচন চায় না—এমন কোনো দল বাংলাদেশে নেই।”

তিনি বলেন, “ছোটখাটো ইস্যুতে উত্তেজিত হয়ে আমরা যেন গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ না করি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের ত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না।”

আলোচনাসভাটি আয়োজন করে জনতার অধিকার পার্টি। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে