ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতি ইসলামি।শনিবার সকাল ১১ টায় কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল হক মোল্লা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আবু তালেব, জেলা প্রশিক্ষক সম্পাদক ওয়ারিয়ার রহমান,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি লুৎফর রহমান, সহ সেক্রেটারি মতিয়ার রহমান, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল হামিদ।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল হক মোল্লা বলেন, ১ জুন কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়ন বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোহাব্বত ও তার ভাই ইউনুছ আলী নিহত হন, যা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নিন্দনীয়। আমরা এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনোই হত্যার রাজনীতি করে না। কিন্তু গত ১১ জুন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু নিহত ইউনুস আলীকে জামায়াত কর্মী ও সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন। অথচ বিএনপি কর্মী হত্যাকান্ডের পর বিএনপির একাধিক নেতা নিহত ইউনুছ আলীকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করেন। যার ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ হত্যাকান্ডের পর প্রতিবাদ সমাবেশে নিহতের ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাস বলেন, আমার ভাই আওয়ামীলীগের ভয়ে ১৬ বছর পালিয়ে ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দেশে এসে তার দল বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হলো।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতের আমির জোর দিয়ে বলেন, একজন ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই জামায়াতের কর্মী হতে পারে না। জামায়াতের কর্মী হওয়ার জন্য নিদ্দিষ্ট সিলেবাস ও কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে আসতে হয়। কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বা এমন কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ আছে এমন ব্যক্তিকে জামায়াতের কর্মী হওয়ার ন্যুনতম কোন সুযোগ নেই। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপির এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান উপজেলা জামায়াত।