সিলেটের জাফলংয়ে সরকারঘোষিত পাথরকোয়ারি বন্ধের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আজ সৃষ্টি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি। সরেজমিন পরিদর্শনে আসা সরকারের দুই উপদেষ্টা-জলবায়ু, বন ও পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহরের সামনে হঠাৎ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কিছু শ্রমিক। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে ১০ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরকার ইতোমধ্যে জাফলংসহ ছয়টি পাথরকোয়ারি নতুন করে ইজারা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। পরিবেশ ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্কিত এই অঞ্চলে আজকের ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
সকালে জাফলং পরিদর্শনে গিয়ে পিয়াইন নদী এলাকায় যান উপদেষ্টারা। সেখানেই পরিদর্শন শেষে গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন ক্ষুব্ধ শ্রমিক স্লোগান দিতে দিতে গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ান। তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “চাকরি না থাকলে খাওয়াবেন কে?”
এ সময় উপদেষ্টাদের গাড়ি প্রায় ১০ মিনিট আটকে থাকে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, “শ্রমিকদের উদ্বেগ আমরা বুঝি, তবে পরিবেশ ধ্বংস করে এভাবে আর চলতে দেওয়া যাবে না। অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “সরকার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। কেউ যেন কর্মহীন না হন, সে জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
এ সময় উপদেষ্টারা স্থানীয় প্রশাসনকে পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন এবং অচিরেই সব অবৈধ পাথর ভাঙার মিল (ক্রাশার মেশিন) অপসারণের নির্দেশ দেন।