নীলফামারী জেলার সদরসহ ৬ উপজেলায় সিনেমা হল ছিল ২৬টি। এদের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ২৫টি হল। চালু রয়েছে সৈয়দপুরের একমাত্র তামান্না হল। এক সময় সৈয়দপুরে ছিল ৪টি সিনেমা হল। তামান্না সিনেমা,বিজলী টকিজ,লির্বাটী সিনেমা ও গ্যারিশন সিনেমা হল। এগুলোর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৩টি হল। চালু রয়েছে শুধু তামান্না হল।
সৈয়দপুর তামান্না সিনেমা হলের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলী ঝন্টু বলেন,আমরা যারা হল মালিক বা পরিচালক তারা অনেক কষ্ট করে হল গুলো সচল রেখেছি। দর্শক না থাকায় প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আমাদেরকে লোকসান গুনতে হয়। তবুও আমরা এ আকাশ সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে চলেছি।
এবার ঈদে হাই রেনটাল টাকা দিয়ে সুপার স্টার নায়ক সাকিব খানের তান্ডব সিনেমা প্রদর্শন করছি হলে। ছবিটি মানসম্মত হওয়ায় নারি পুরুষ দর্শক আসছে হলে। ঈদের কয়েকদিন সিনেমা হল ছিল হাউজ ফুল। এ ছবিটিতে হলমুখী দর্শক দেখে মনে আনন্দ লেগেছে। কিন্তু হঠাৎ করে ফেসবুকে দেখতে পেলাম তান্ডব ছবিটি। হলে চলাকালীন সময় কিভাবে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হল তা আমার প্রশ্ন। লাখ লাখ টাকা দিয়ে ছবি এনে হলে প্রদর্শন করি। সব সময় টেনশনে থাকি আসল টাকা উঠে আসবে কি না। এ চিন্তার মাঝে জমা হয় আরেক চিন্তা। হলে ছবি প্রদর্শনকালে ফেসবুকে কিভাবে ভাইরাল হল তান্ডব। কারা এ কাজটি করলো। এতে করে হলে দর্শক কমে গেছে। আমার দাবি যারা এ ছবিটি ফেসবুকে দিল তাদের বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। নয়তো আমরা হল মালিকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবো।
সৈয়দপুরের সংস্কৃতি মনা তরুন যুবক মোশাররিফ হোসেন আকাশ বলেন,আমি আকাশ সংস্কৃতিকে ঠিকে রাখতে একটি বন্ধ হল চালু করেছি। শ্রীনগর মুন্সিগঞ্জ ঢাকার ওই ঝুমকা হলে গত ১৫ বছর কোন নতুন ছবি লাগেনি। এবার ঈদে তান্ডব ছবি দিয়ে হলটি উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে ছবিটি বেশ দর্শক নন্দিত হয়েছে। আমার বাবা সৈয়দপুর তামানা হল পরিচালনা করছেন আর আমি শ্রীনগর মুন্সিগঞ্জে ঝুমকা হল পরিচালনা করছি।