শেয়ারবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
এই আদেশের মাধ্যমে দেশে বহুল আলোচিত তারকা খেলোয়াড়ের নামও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের নজরে এল, যা জনমনে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।
দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা হলেন: সাকিব আল হাসান, মো. আবুল খায়ের (উপনিবন্ধক, সমবায় অধিদপ্তর), কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির, তানভির নিজাম।
দুদক জানায়, উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়েরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজার আইনের লঙ্ঘনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে বিনিয়োগ ও আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তাধীন। এই অর্থের উৎস, ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্টদের সম্পদের উৎস যাচাই করা হচ্ছে।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, তদন্ত চলাকালে গোপন সূত্রে জানা যায় অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে তাদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ করা জরুরি হয়ে ওঠে।
উল্লেখযোগ্য যে, সাকিব আল হাসান এর আগেও আইনি জটিলতায় পড়েছিলেন। চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। যদিও তিনি তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তিনি আর দেশে ফেরেননি।