সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনির সম্পাদক মমিন উল্লাহকে লাঞ্চিতের ঘটনায় কাবিলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মহিন উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল ও সাবেক সহ সাধারন সম্পাদ মোঃ ফারভেজকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে জেলা যুবদল। ১৫জুন রাতে জেরা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক রাইসুল হায়দার বাবু সাক্ষরিক এক চিঠিতে বলা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনি সম্পাদক মমিন উল্লাহকে ১৪জুন ছরিম মুন্সির হাট কাচা বাজারের অতর্কিতে হামলা করে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে অভিযোগ করেন মমিন উল্লাহ। এমন্তাঅস্থায় সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা তা আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অপরদিকে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মহিন উদ্দিন মহিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দুলালের বিরুদ্ধে উপজেলা সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন উল্লাহ কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা অপবাদ ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়েরর প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কাবিলপুর ইউপি বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবকদল ও শ্রমিকদল সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার বিকেলে ফেনী-নোয়াখালী ফোরলেন মহাসড়কের সেনবাগ উপজেলার ছমিরমুন্সির হাট বাজারে ওই বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত । শেষে সন্ধ্যায় ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে ছমির মুন্সির হাট ড্রীম কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, কাবিলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহিন উদ্দিন মহিন, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সামছুল হক সামু, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন প্রমুখ্য বক্তব্য রাখেন। এই সময় তারা বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মমিন উল্লা কর্তৃক থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগ ও সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শনিবার বিকেলে তারা স্থানীয় ছমিরমুন্সিরহাট বাজারে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্চাসেবকদল, সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীরা ঈদপূর্ন মিলনী অনুষ্ঠান করেন। ঈদ পূনমিলনীর্ সভ শেষে করে কর্মীদের বিদায় করে দেওয়ার কাজে ব্যাস্ত ছিলেন।
সন্ধ্যায় খবর পান উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদ মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যানকে কে বা কারা লাঞ্চিত করেছে। বিষয়টি তারা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যান থাকা কালিন সময়ে সালিশের জামানতের টাকা পেরৎ না দেওয়া ও গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে লোকজন থেকে নেওয়া টাকা ফেরৎ না দেওয়ার ঘটনায় পাওনা দাররা তাকে শনিবার ছমির মুন্সিরহাট বাজারে লাঞ্চিত করে ও তার পরনের কাপড় ছিড়ে পেলে। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানান। কিন্ত মমিন উল্লাহ ওই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও রাজনৈতিক ভাবে সুবিধা পেতে এঘটনার সঙ্গে সাবেক বিরোধীদলীয় চীপহুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে জড়িয়ে দুঃসময়ের মামলা হামালার শিকার যুবদল সভাপতি মহিন ও সেক্রেটারী দুলালে বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা অভিলম্বে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা মিথ্যা কথা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা মমিন উল্লাহ বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিককে সঙ্গে আতাত করে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হযরানি করেছে।
বক্তারা মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে বলেন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন ,তিনি তিন বারের উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ও সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন ও দুই বারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। কই এত পদ-পদবি ধারী ব্যাক্তিটি বিরুদ্ধে বিগত ১৭ বছরে থানায় একটি মামলা হয়নি। আওয়ামীলীগ বিগত সময়ে নাবালক বাচ্চা, মৃত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পর্যন্ত মামলা দিয়েছে। আমাদের এক এক জনের বিরুদ্ধে ২০/৩০টি মামলা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যান জনাব জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন, এই জয়নুল আবদিন ফারুক তাকে দুইবার চেয়ারম্যান বানিয়েছেন।
সংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন,রাজনীতিতে গ্রুপিং ও প্রতিযোগীতা থাকবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। এই মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যান সবসময় হালুয়া রুটির রাজনীতি করেন। তিনি যেখানে টাকা সেখানে যান। তিনি বিএনপির বড় পদে থাকলেও সবসময় তিনি আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকে আশপাশ্বে থেকে তার নিকট থেকে সুবিধা নিয়েছেন। বর্তমানে তার নিকট থেকে সুবিধা নিতে না পারায় তিনি কাজী মফিজ গ্রুপে যোগদান করেন। সেখানে কিছু দিন থাকার পর সেখানে সুবিধা বন্ধ হলে তিনি যোগদেন সৌদি আবর প্রবাসী আবদুল মান্নান গ্রুপে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা আরো অভিযোগ তুলে বলেন, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে সদস্য ঘোষিত জেলা বিএনপি। আগামী এক সপ্তহের মধ্যে সেনবাগ উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষনা কর হবে এমন সংবাদ প্রচার হওয়ার পর দলীয় পদ ভাগাতে এমন কর্মকান্ড ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়াও যুবদলের তিন নেতার বিরুদ্ধে কারন দশানোর নোটিশের বিষয়টি জেলা কমিটিকে সরেজমিনে তদন্তে আহবান জানিয়ে সোমবার বিকেল উপজেলার কাবিলপুর ইউপি ছমির মুন্সির হাটে ও মোহাম্মদপুর ইউপির সেবারহাট বাজার সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিএনপি নামধারী দালাল এবং আওয়ামীলীগের সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুাষ্ঠিত হয়।