২০২৬ সালের হজকে সামনে রেখে সময়সূচিনির্ভর একটি পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। একই সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর)। রোববার (১৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত ৮ জুন ২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ প্রকাশ করে। এরপর তা হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও হজ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষকে অবহিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
রোডম্যাপ অনুসারে, আগামী ১০ জুলাই ‘নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমে ২০২৬ সালের হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। এরপর ২৬ জুলাই থেকে হজ ক্যাম্প সংক্রান্ত তথ্য দেখা ও অর্থ স্থানান্তরের সুবিধা চালু হবে।
এছাড়া, চলতি হজ মৌসুমে ব্যবহৃত ক্যাম্পগুলো আগামী মৌসুমে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ‘নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমেই ক্যাম্প ভাড়া ও অন্যান্য সেবা চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী আরও উল্লেখযোগ্য সময়সীমাগুলো হলো:
১। ২৪ আগস্টের মধ্যে সেবা প্যাকেজ, আবাসন, পরিবহন এবং এয়ারলাইন্স নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
২। ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রীদের নিবন্ধন, তথ্য আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে।
৩। ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি।
৪। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ প্রেরণ করতে হবে।
৫। ৪ জানুয়ারি চূড়ান্তভাবে সেবা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি এবং এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চূড়ান্ত করতে হবে।
৬। ২০ জানুয়ারি শুরু হবে হজযাত্রীদের জন্য হোটেল ও পরিবহন খাতে অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া।
৭। ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মক্কা ও মদিনার আবাসন ও পরিবহন চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে।
৮। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে হজ ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া।
৯। ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ২০২৬ সালের হজ ফ্লাইট।
কিছু অতিরিক্ত নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ:
• হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ ২টি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন।
• সব ধরনের চুক্তি ও অর্থ লেনদেন কেবল ‘নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। বাইরের কোনো লেনদেন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
• কোরবানির অর্থও এই প্ল্যাটফর্মেই জমা দিতে হবে।
• হজযাত্রীদের জন্য খাবার সরবরাহে সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক।
• মেডিকেল ফিটনেস ছাড়া কেউ হজে যেতে পারবেন না। হৃদরোগ, ক্যানসার, যক্ষ্মা, মানসিক অসুস্থতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, লিভার সিরোসিস বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন না।