বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও সারের মতো আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার ফলে হরমুজ প্রণালী হয়ে আসা সরবরাহে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও এখনো অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে ঠিকই, তবে এখনই দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই।”
তিনি আরও জানান, সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং সেটি দীর্ঘমেয়াদি হলে আমদানিকৃত সার, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের দামে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে এসব পণ্য আমদানি হওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, “আমরা বর্তমানে যে দামে এলএনজি ও সার আমদানি করেছি, তাতে কোনো অতিরিক্ত মূল্য যুক্ত হয়নি। চলমান বাজার দরে আমদানির অর্ডার দেওয়া হয়েছে।”
সরকারের এই অবস্থান স্পষ্টভাবে বোঝায়, তারা জনগণের ওপর অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাতে এখনই প্রস্তুত নয়। যদিও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ মেয়াদে চাপ সৃষ্টি হতে পারে, তবে নীতিগতভাবে তাৎক্ষণিক মূল্যবৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।