নওগাঁর সাপাহারে পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় ঘাসফুল কর্তৃক বাস্তবায়িত ঝঁংঃধরহধনষব গরপৎড়বহঃবৎঢ়ৎরংব ধহফ জবংরষরবহঃ ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ (ঝগঅজঞ)- ফল প্রকল্পের উদ্যোগে বিশ্ব মরুকরণ ও খরা দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে। জাতিসংঘের ঘোষিত প্রতিপাদ্য "জমি পুনরুদ্ধার করুন, সুযোগের দ্বার খুলুন"-এর আলোকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষক, সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিসহ প্রায় ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। সেখানে র্যলি সহ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা নওগাঁর ক্রমবর্ধমান মরুকরণ সংকট নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সাপাহার সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক সুরাইয়া আক্তার লিলি সতর্ক করেন বলেন "নওগাঁয় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর ৩ মিটার নিচে নামছে। টেকসই সমাধান বাস্তবায়ন না করলে ২০৪০ সাল নাগাদ ১৭% কৃষিজমির উর্বরতা হারাবো আমরা।" সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শামসুন্নাহার সুমি এ বিষযে মানুষের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "পানির অপচয় ও ভূমি অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই এই সংকট সৃষ্টি করেছি। গাছ লাগানো ও পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে এখনই সচেতন হতে হবে।" ঝগঅজঞ-ফ্রূটস প্রকল্প ম্যানেজার জনাব কুদরাত-ই-খোদা মো. নাছের সমাধানের রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, "বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, সোলার সেচ ও খরা-সহিষ্ণু গাছ রোপণে জরুরি বিনিয়োগ প্রয়োজন।"
প্রধান অতিথি জনাব মো. সেলিম হোসেন (এরিয়া ম্যানেজার) তার সমাপনী বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, "মরুকরণ রোধে পুনরুদ্ধারই সর্বোত্তম হাতিয়ার। জমি বাঁচানোর এই লড়াইয়ে সরকরি, বেসরকারি সংস্থা ও স্থানীয় জনগণকে একত্রিত হতে হবে।