ঐকমত্য কমিশনের সভায়

প্রথম দিনে অনুপস্থিত, দ্বিতীয় দিনে আলোচনায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
প্রথম দিনে অনুপস্থিত, দ্বিতীয় দিনে আলোচনায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা

দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের (ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন) দ্বিতীয় ধাপে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে অংশ নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এ বৈঠকে জামায়াতের উপস্থিতি নানা দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বুধবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে শুরু হয় এই আলোচনা। বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে অংশ নেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছিল কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম দিনের আলোচনা, যেখানে জামায়াতে ইসলামী অনুপস্থিত ছিল। দলটির অনুপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেয়। জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় জামায়াতকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি। এ কারণেই তারা প্রথম দিনের বৈঠকে অংশ নেয়নি।

তবে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা পর জামায়াতকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও তারা শেষ পর্যন্ত অংশ নেয়নি। পরে বুধবারের বৈঠকে সরাসরি অংশগ্রহণ করে তারা।

বুধবারের আলোচনায় মূলত তিনটি বিষয় ছিল কেন্দ্রে—

১. জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)

২. রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি

৩. জেলা সমন্বয় কাউন্সিল গঠন

জানা গেছে, জামায়াত ছাড়াও বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আরও প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোট এ আলোচনায় অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জুলাই মাসের মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ তৈরির কাজ শেষ করতে চায় কমিশন।”

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট ও বিদ্যমান দূরত্ব ঘোচাতে এই ধরনের সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষ করে জামায়াতের মতো একটি বিতর্কিত দল, যারা একসময় নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল, তাদের উপস্থিতি কমিশনের উদ্যোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে