মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের উত্তাপ যখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, ঠিক সেই সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। বুধবার (১৮ জুন) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় হোয়াইট হাউসের কেবিনেট রুমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজ।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান গত ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। ট্রাম্প-মুনির বৈঠকের সময়সূচি আগেই নির্ধারিত থাকলেও সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সাক্ষাৎ নতুন গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষত, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলা এবং এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরির নিহত হওয়ার ঘটনায় অঞ্চলটি রীতিমতো টালমাটাল হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বৈঠক পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর নজর কেড়েছে।
এই বৈঠকে ট্রাম্প ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও উপস্থিত থাকবেন বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে। পুরো বৈঠকটি গণমাধ্যমের উপস্থিতি ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মূলত দুটি বার্তা পৌঁছাতে চাওয়া হচ্ছে—
১. ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে পাকিস্তান যেন কোনোভাবে জড়িয়ে না পড়ে।
২. যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে ইসলামাবাদ যেন তেহরানকে কোনো ধরনের কৌশলগত সহায়তা না দেয়।
আরো পড়ুন: পাক সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠকের আগেই মোদি-ট্রাম্পের ফোনালাপ
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক বলয়েরও অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। দেশটির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। মে মাসের শেষভাগে তিনি ইরানের তৎকালীন সেনাপ্রধান বাঘেরির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেই বাঘেরিই নিহত হন শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলি বিমান হামলায়।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে আসিম মুনিরের হোয়াইট হাউস সফর বিশ্বকূটনীতির নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।