ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ঝাউদিয়া কবিরপুর ও গোবিন্দপুর এলাকায়। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে কুকুর নিধন সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় কুকুরের উৎপাত এমনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে উপজেলা শহরের হাট বাজার থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাগুলোতে বেয়ারিস কুকুর যেভাবে মানুষ ও ছাগল গরুর প্রতিনিয়ত কামড়িয়ে আহত করছে সেই ভয়ে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কুকুরের ভয়ে শিক্ষার্থীরা অনেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকালে (আজ) উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন, মারিয়া, সূর্য, গোবিন্দপুর গ্রামের সুমাইয়া, সামিউল, ইসলাম, শান্তিরাম, ও কবিরপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, শাহাদত, শাহজাদা, ইবাদত হোসেন ও লামিয়া খাতুনসহ গত ২ দিনে কুকুরে কামড়ানো ২০ জনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন না থাকায় তাদেরকে ঝিনাইদহে সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুকুরে কামড়ানো শান্তিরামন্ডল জানান আমি সকালে বাড়ি থেকে আসার পথে হঠাৎ পিছন থেকে কয়েকটি কুকুর এসে আমাকে কামড়িয়ে গুরুতর আহত করে। আমার আত্মচিৎকারে পথচারীরা এসে উদ্ধার করে। সামিউল ইসলাম জানান কুকুরের কামড়ানোর ভ্যাকসিন শৈলকূপা হাসপাতালে না থাকায় আমাদেরকে ঝিনাইদা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ডাঃ রাশেদ আল মামুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন নাই। ভ্যাকসিনের জন্য উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হয়েছে। তাই কুকুরে কামড়ানো রোগীদেরকে ভ্যাকসিন না থাকায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফাড করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সংকটের বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগ বলতে পারবেন।