কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, ভৈরব, অষ্টগ্রামসহ ১৩ উপজেলা ৩২২ জন স্বাস্থ্যকর্মী (সিএইচসিপি) কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বেতন পাচ্ছেন না ৬মাস ধরে। এইসব স্বাস্থ্যকর্মীর বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। জানা যায়, উন্নয় খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা থাকায় ৬মাস ধরে বেতন বন্ধ আছে। চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। গত আগষ্ট মাসে চাকরীর রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবীতে তারা আন্দোলন করে। কিশোরগঞ্জ জেলা কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৩ উপজেলার ৩২২জন কর্মরত রয়েছে। তারা ১যুগ ধরে একই পদে চাকরী করছেন। তাদের কোনো পরিবর্তন নেই। সর্বশেষ স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্তনালয়ে সচিব কমিটির অনুমোদন হলেও সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের উধাসিনতার কারণে তারা বেতন পাচ্ছেন না। ছেলে-মেয়েদের পড়ার খরচ দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানা যায়, ২০১১ সালে সিএইচসিপি গ্রেড-১৪ হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রধান দায়িত্বে আসেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের সাড়াদেশে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, ঠিকা কর্মসূচী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, জন্মনিবন্ধন বাড়ানোসহ বিভিন্ন কাজ তাদেরকে করতে হয়। সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরী স্থান্তরের সময় জটিলতা শুধু কিশোরগঞ্জ নয় সাড়াদেশে প্রায় ১৪ হাজার সিএইচসিপিরা কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না বলে জানা যায়।