হামলা বন্ধ না করলে কঠোর জবাব দেবে ইরান: প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
হামলা বন্ধ না করলে কঠোর জবাব দেবে ইরান: প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান

ইসরায়েল যদি বিমান হামলা বন্ধ না করে, তাহলে ইরান আরও শক্তিশালী করতে বাধ্য হবে, যাতে দখলদার দেশটির অনুশোচনা করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবার তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইসরায়েলকে। 

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, “আমরা সবসময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে স্থায়ী শান্তি শুধু তখনই সম্ভব, যদি জায়োনিস্ট শত্রু (ইসরায়েল) তার আগ্রাসন বন্ধ করে ও সন্ত্রাসী উসকানির সমাপ্তিতে দৃঢ় নিশ্চয়তা দেয়। আমরা সংঘাত চাই না, তবে জবাবদিহিতা ছাড়া শান্তি অসম্ভব।”

পেজেশকিয়ানের এই বক্তব্যের পরেই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে আরও শক্তিশালী হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।

বিবৃতিতে ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আমরা ইরান সরকারের প্রতিটি প্রতীক, মিলিশিয়া ও বিপ্লবী গার্ডের মতো ‘ক্ষমতার প্রতীক ও দমনমুলক ব্যবস্থাগুলোর’ ওপর আঘাত হানবো।

তার এই ঘোষণা ইসরায়েলের যুদ্ধনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুরুতে ইসরায়েল শুধু ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সীমিত হামলা চালানোর পরিকল্পনা করলেও, এখন স্পষ্টভাবে ইরানের ক্ষমতার ভিত্তিতে আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাৎজ বলেছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করাটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন প্রকাশ্য ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা ‘ক্ষমতার পালাবদল’ ঘটানোর উদ্দেশ্যে হামলার ঘোষণা ইরানকে আরও আগ্রাসী প্রতিক্রিয়ায় প্ররোচিত করতে পারে ও এই যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা। হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়।