জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পূর্ব শত্রুতার জেরে মামুদপুর ইউনিয়নের সমন্তাহার গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে নাজিম (৩০) নামের এক যুবককে স্থানীয় বাজারে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে সন্ত্রাসী কায়দায় গুদামে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে আহত করেছে একয় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন সবুজ তার চার সহযোগী বিরুদ্ধে। গত ২০ জুন শুক্রবার সকাল ১১ টায় ওই ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে এঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, সবুজের বাবা নূরুল ইসলাম ও নাজিমের বাবা মতিয়র রহমানের বসতবাড়ির বর্ষার পানি নিষ্কাশন নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদ চলছিল। বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার পানি মতিয়রের জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হত। মতিয়র ওই পানি প্রবাহের গতি পথ বন্ধ করে রাখে। ফলে পানি জমে তাদের এক প্রতিবেশির বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ওই প্রতিবেশি শুক্রবার সকাল ৮টায় বন্ধ মুখ খুলে দিতে গেলে নাজিমের বাবা মতিয়র রহমান বাধা দেয়। ওই সময় সবুজের বাবা নূরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা এসে উভয়কে শান্ত করে।
এরপর ওই দিন সকাল ১১ টায় নাজিম তার বোনের বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্য মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে চৌমুনি বাজারে রুহুল আমিন সবুজের দোকানের সামনে পৌঁছালে তাকে আটকে বেধড়ক মারধর শুরু করে সবুজ। একপর্যায়ে তাকে গুদামে আটকে রেখে তার দোকানের কর্মচারী ও তিন সহযোগী মিলে থেট পাইপ ও লাঠি দিয়ে মেরে মারাত্মক জখম করে। এবং সবুজ নিজে থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দেয় তারা ঘটনাস্থলে এসে নাজিমের পরিবারকে খবর দিলে তারা এসে আহত নাজিমকে প্রথমে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। নাজিমের পরিবার ওই ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ জনের নামে ক্ষেতলাল থানায় মামলার প্রস্তুত চলছিল। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সমন্তাহার গ্রামের নুরুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে রুহুল আমিন সবুজ (৩৬), ধনতলা গ্রামের উকিলের ছেলে সাব্বির ইসলাম (১৯) মিনিগাড়ী গ্রামের সিয়াম ইসলাম (২৫) একয় গ্রামের সবুজের শশুর নজরুল ইসলাম (৫৮)।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী তারাজুল বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে নাজিমের মোটরসাইকেল আটকে অতর্কিত হামলা করে মারতে মারতে তার ঘরের ভিতর নিয়ে আটকে রাখে। আমাদের চোখের সামনে সবুজসহ কয়েকজন মিলে নাজিমকে মারধর করেছে।
নাজিমের মা বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে ওদের কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল না। এটা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত হামলা। এরা সন্ত্রাসী, আমার একমাত্র ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এঘটনায় রুহুল আমিন সবুজ বলেন, আমার বাবাকে মারধরের কথা শুনে রাগের মাথায় নাজিমকে চরথাপ্পর ও পাইপ দিয়ে তিনটি বারি মেরেছি। ওই সময় বাজারের লোকজন জড়ো হওয়ায় আমার স্ত্রী নাজিমকে ঘরের ভিতরে নিয়ে বসে রাখে।
এ বিষয়ের ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাসমত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।