বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

সরাইলে মাছে ক্যামিকেল-রং মিশিয়ে প্রতারণা

এফএনএস (মাহবুব খান বাবুল; সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : : | প্রকাশ: ২১ জুন, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
সরাইলে মাছে ক্যামিকেল-রং মিশিয়ে প্রতারণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিয়মিত মাছে ক্যামিকেল/রং মিশিয়ে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ি। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ওই রং মিশ্রিত মাছ খেয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সরাইল সদরের হাসপাতাল/ উচালিয়াপাড়া মোড়, অন্নদা স্কুল মোড় ও প্রধান সড়কে চলছে এমন ব্যবসা। বিশেষ করে চাষের শিং ও মাগুর মাছে ওই ক্যামিকেল/রং মিশিয়ে রং পরিবর্তন করছে। দেশী মাছ বলে চড়া দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। 

গতকাল শনিবার সকালে সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, সরাইল উচালিয়াপাড়া মোড় বাজারে রং মিশিয়ে শিং মাছের প্রকৃত রং পাল্টে বল নিয়ে আছেন এক যুবক। দেশী শিং মাছ দাবী করে চড়া দাম হাকাচ্ছেন। নাম জানতে চাইলে হতকচিত হয়ে বলেন আসিফ। বড্ডাপাড়া গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে তিনি। মাছে রং কেন জানতে চাইলে একটু ক্ষুদ্ধ হন। পাশেই বলে মাগুর মাছ নিয়ে বসে আছেন এক ষাটোর্ধ্ব বয়সের বৃদ্ধ লোক। নাম জানতে চাইলে তিনি চরম ভাবে ক্ষুদ্ধ হন। তিনিও রং মিশিয়ে মাগুর প্রকৃত রং আড়াল করে ফেলেছেন। দেখতে একেবারে দেশী মাগুর। চাষের ও অষ্ট্রেলিয়ান মাগুর গুলোকে রং দিয়ে দেশী দাবী করে অধিক মূল্য চাইছেন। আরেক জায়গায় কয়েকজন বলের মধ্যে ৪-৫ জাতের মাছ একত্র করে ছাঁই মাটি কাদা ও কচুরিফাণা মিশিয়ে খাল বিল নদীর মাছ বুঝাচ্ছেন। বাজারে আসা একাধিক ক্রেতা বলেন, এমন প্রতারণা করে এক শ্রেণির লোক নিয়মিতই আমাদেরকে ঠকিয়ে যাচ্ছেন। অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি মানব দেহের মারাত্বক ক্ষতি করছে ওই মাছ গুলো। আমাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। উপজেলা সদরে এমন প্রতারণা করলেও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বা স্থানীয় মৎস্য বিভাগের কোন ধরণের তৎপরতা চোখে পড়ে না। এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসিয়াল মুঠোফোন নম্বরে (০১৭৬৯-৪৫৯৩৬৭) একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে