ইরানের ছয় বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলা, ধ্বংস ১৫ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশ: ২৩ জুন, ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
ইরানের ছয় বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলা, ধ্বংস ১৫ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার নতুন মাত্রা হিসেবে ইরানের ছয়টি বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব হামলায় ইরানের অন্তত ১৫টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা একাধিক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার (২৩ জুন) ইরানের পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের অন্তত ছয়টি বিমানবন্দরে এই হামলা চালানো হয়। হামলায় ইসরায়েলের ম্যানড (মানবচালিত) এবং রিমোট (দূরনিয়ন্ত্রিত) আকাশযান ব্যবহার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ হামলায় ইরানের সামরিক ঘাঁটির রানওয়ে, ভূগর্ভস্থ বাংকার এবং জ্বালানি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, ইরানি সেনাবাহিনীর বহরে থাকা এফ–১৪, এফ–৫ এবং এএইচ–১ মডেলের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারও ধ্বংস হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, এই হামলার ফলে ইরানের উড্ডয়ন সক্ষমতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে এবং সামরিক আকাশ অভিযানে বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে। হামলায় তেহরানের মেহরাবাদ, মাশহাদ ও দেজফুলসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

ইরান এখনও এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির গণমাধ্যম ফার্স এবং প্রেস টিভির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, কেরমানশাহ প্রদেশের হামিল শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক ইরানি নারী ও তার ছয় বছরের শিশু নিহত হয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছে ওই নারীর স্বামী ও আরেক সন্তান।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয় যখন যুক্তরাষ্ট্রও এই সংঘাতে সরাসরি জড়ায় এবং ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে বিমান হামলা চালায়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলার সফলতা নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্যও করেন।

সব মিলিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এখন মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।