যুদ্ধ বিরতিতে সম্মতি জানালো নেতানিয়াহু, দিলেন কড়া বার্তা

এফএনএস অনলাইন:
| আপডেট: ২৪ জুন, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম | প্রকাশ: ২৪ জুন, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
যুদ্ধ বিরতিতে সম্মতি জানালো নেতানিয়াহু, দিলেন কড়া বার্তা

ইরানে হামলার প্রতিশোধে সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছে তেহরান। এ ঘটনার জের ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল একটি "সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে" সম্মত হয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করে দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। 

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২ টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইরানি-ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে নেতানিয়াহু সম্মত হয়েছেন। একইসঙ্গে যেকোনো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ইসরায়েল কঠোর জবাব দেবে বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। ইরানে প্রায় দুই সপ্তাহের হামলার পর ইসরায়েল তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে। ইসরায়েল একটি তাৎক্ষণিক এবং দ্বৈত অস্তিত্বগত হুমকি দূর করেছে- পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উভয় ক্ষেত্রেই।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে ইসরায়েল।

চলমান উত্তেজনার সূচনা হয় ১৩ জুন রাতে, যখন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে হামলা চালায়। ওই হামলায় ইরানের উচ্চপর্যায়ের সামরিক নেতারা এবং ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ প্রায় ৫০০ জন নিহত হন বলে দাবি করেছে ইরান।

এর জবাবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ চালায় ইরান। ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বেশ কয়েকটি কৌশলগত স্থাপনায় আঘাত হানে। হতাহতের পরিমাণ কম হলেও ইসরায়েল বড় ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষতির মুখে পড়ে।

সবশেষে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ২১ জুন রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়, তখন উত্তেজনা আরও তুঙ্গে ওঠে। পাল্টা জবাবে ইরান আবারও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়।