পিরোজপুরে শিশু ধর্ষণের অপরাধে একজনকে ১০ বছরের আটক আদেশ (কারাদন্ড) দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আসাদুল্লাহ আসামীর উপস্থিতিতে ওই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বাধন বসু (১৭) ভান্ডরিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের গৌতম বসু ও শিখা রানীর পুত্র। রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট নয় বলে বাদী রোকসানা বেগম জানিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের এক গৃহবধু রোকসানা বেগম তার ছোট মেয়ে ও শ্বশুরকে রেখে এক মেয়েকে সাথে নিয়ে বরিশালে চিকিৎসা করাতে যান। রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে আসামী বাধন ভিকটিমকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা রোকসানা বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করে। মামলায় সাক্ষ্য প্রমানে আসামী দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত ওই রায় দেন। মামলার বাদী রোকসানা বেগম জানান, ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া শিশুকে ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে বাধন। আমরা উপযুক্ত বিচার পাইনি। আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি হলে উপযুক্ত বিচার হতো।
নারী-শিশু আদালতের পিপি নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান জানান, শিশু ধর্ষণ অভিযোগের মামলাটি প্রসিকিউশন প্রমান করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে আসামীকে ১০ বছরের আটক আদেশ (কারাদন্ড) দিয়েছে।