সৈয়দপুরে রিমান্ড শেষে কারাগারে রেলওয়ের কর্মকর্তা সুলতান মৃধা

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) :
| আপডেট: ২৫ জুন, ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম | প্রকাশ: ২৫ জুন, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
সৈয়দপুরে রিমান্ড শেষে কারাগারে রেলওয়ের কর্মকর্তা সুলতান মৃধা

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ের কর্মকর্তা সুলতান মৃধাকে রিমান্ড শেষে আবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি এসএসএই (পথ) পিডাব্লিউ অফিসের ইনচার্জ। ২৫ জুন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ তাঁকে নীলফামারী পৌঁছে দিয়েছে।

 মঙ্গলবার আদালত তাঁর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর প্রেক্ষিতে ওইদিন বিকেল ৫ টায় তাঁকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য নিজ জিম্মায় নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার এস আই মাহবুব রশীদ। 

সুলতান মৃধার বিরুদ্ধে নিজ অফিসের স্টোর ও ইয়ার্ডে রক্ষিত রেললাইন (পাত) গ্যাস দিয়ে কেটে রাতের আধারে বিক্রি ও পাচারের অভিযোগে একটি মামলা হয়। উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পার্বতীপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জুন ওই মামলা করেন 

ওইদিনই বেলা ৩ টায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার যৌথ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাঁর জামিন আবেদন করা হলেও আদালত মঞ্জুর করেনি। 

তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, মামলায় সুলতান মৃধা প্রধান আসামী। তবে অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জন আসামী রয়েছে। তাদের বিষয়ে তথ্য জানতেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। জিজ্ঞেসাবাদে এ ব্যাপারে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবেনা। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন রাতে পিডাব্লিউ অফিসের স্টোর ও ইয়ার্ডে রাখা রেললাইন গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রির পর ভোরে দুইটা পিক-আপে পাচার করা হয়। এই তথ্য প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে দুই সাংবাদিক বিষয়টি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ইনচার্জ সুলতান মৃধাকে আটক ও মামলা দায়ের করা হয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে