আনিছুল হক, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ২নং জুম্মাপাড়া গ্রামের একজন হতদরিদ্র অসহায় কৃষক। শ্রমিকের মজুরী বেশী হওয়ায় তার কষ্টার্জিত ১২ শতাংশ ফসলি জমির ধান কাটতে পারছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়ে ছিলেন এই হতদরিদ্র অসহায় কৃষক। হতদরিদ্র কৃষকের এই সমস্যার কথা চিন্তা করে তার পাশে দাড়িয়েছেন তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন আনসার ভিডিপির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ২নং জুম্মা পাড়ার আনিসুল হকের ধান ক্ষেতে উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তাদের নির্দেশে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন সহকারী আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার নারায়ণ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন আনসার সদস্য দের নিয়ে এই ধান কেটে দেয়। এতে প্রশংসায় ভাসছেন হাড়িয়ারকুটি ইউনিয়নের আনসার ভিডিপি সদস্যরা।
সুবিধাভোগী কৃষক আনিসুল হক জানান, শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় আমি ফসলি পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। আনসার সদস্যরা স্বপ্রনোদিত হয়ে আমার এই ধান কেটে দিয়ে ঘর পর্যন্ত তুলে দেয়। এতে তারা আমার অনেক উপকার করে। আমিও আমার পরিবার বড়ই উপকৃত হই।
হাড়িয়ারকুটি ইউনিয়ন সহকারী আনসার কমান্ডার নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্যারদের নির্দেশনায় অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘর পর্যন্ত তুলে দিয়েছি। এতে আমার আনসার সদস্যরা আনন্দের সাথে কাজ করেছে। এলাকার দরিদ্র কৃষকটি উপকৃত হয়েছে। এই মহতি কাজটি চলমান থাকবে। যদি আরো কারো অর্থাভাবে ধান কাটা লাগে তারা আমাদের বললে আমরা তা করে দেবো।