বিরলে ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ীর ছিনতাই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উন্মোচন

এফএনএস (মোঃ আতিউর রহমান; বিরল, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ২৬ জুন, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
বিরলে ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ীর ছিনতাই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উন্মোচন

সকল নাটকীয়তার অবসান শেষে টানা প্রায় ১০ ঘন্টা তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে সাজানো ছিনতাই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উন্মোচন করে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ। নগদ টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোবাইলফোনসহ মোটরসাইকেলের চাবি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ প্রশাসন। ঋণের বোঝা থেকে সাময়িক মুক্তির ভাবনায় ছিনতাই নাটক মঞ্চস্থ করার কথা স্বীকার করে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মোঃ মইনুল ইসলাম নাটকের রচয়ীতা নিজেই বলে জানান।

উল্লেখ্য, বিরলে দিনেদুপুরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ৩৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মঞ্চস্থ করেন উপজেলার ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়নের গোপালপুর (বড়বাড়ি) গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী এর ছেলে ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ী মোঃ মইনুল ইসলাম। ২৫ জুন ২০২৫ বুধবার দুপুর আনুমানিক ২.১৫ টায় দিনাজপুর- বিরল সড়কের মুরাদপুর (মহাজনবাড়ী) সংলগ্ন কালভার্টের নিকট পথরোধ করে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ৩৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের সাজানো ঘটনায় এলাকায় মুহুর্তে সরগোল পরে যায়।

নিজ বাড়ি হতে ২৬ লাখ টাকা এবং এনআরবিসি ব্যাংক বিরল শাখা হতে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে সর্বমোট ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে দিনাজপুর অগ্রণী ব্যাংক, স্টেশন রোড শাখায় নিজের সিসি ঋণের টাকা জমা দেয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে বিরল হতে দিনাজপুর যাওয়ার পথে উক্ত স্থানে পৌঁছামাত্র দুইটি মোটরসাইকেলে ৪ চারজন ব্যাক্তি রাস্তা প্রতিরোধ করে বলে তিনি নাটকীয়ভাবে জানান। এরপর পিছন থেকে আরেকটি মোটরসাইকেলে দুইজন ব্যক্তিসহ মোট ছয় জন মইনুল ইসলাম এর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার নিকট ব্যাগে থাকা ৩৪ লাখ টাকা ছিনতাই করে নেয় বলে তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত পথচারীদের তিনি জানান। 

সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম  এন্ড অপস) মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সিফাত ই- রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আবদুল হালিম, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর, ওসি (তদন্ত) আনিছুর রহমান সরকারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাপ্ত তথ্য থেকে কোন আলামত না পাওয়ায় নাটকের রচয়িতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তল্লাশী করে কীটণাশকের খালি বাক্সে রাখা নগদ ১১ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেলের চাবি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত টাকা ও মালামাল সাথে সাথেই মোঃ মইনুল ইসলামকে প্রদান করা হয়। পরে ঘটনার বিষয়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘন্টার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে