নীলফামারীর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা শহর হল সৈয়দপুর। বাণিজ্যিক এ শহরে প্রায় ৪ লাখ লোকের বসবাস। ঘনবসতিপূর্ণ এ শহরে নিত্যদিন ঘটে নানা অপরাধমুলক ঘটনা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। তাই অপরাধীসহ অন্যান্য অপরাধমুলক কার্যক্রম সহজে সনাক্ত করতে গোটা শহরে লাগানো হয় সিসি ক্যামেরা। ওই সিসি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে শহরে কমেছিল অপরাধমুলক কার্যক্রম। কিছু বিশৃংঙ্খল ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তা অতি সহজে সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি শহরে লাগানো সিসি ক্যামেরাগুলো প্রায় সবগুলোই অকেজো হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ক্যামেরাগুলো অচল হয়ে পড়ে থাকলেও এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।
সৈয়দপুরের এক নেতা জানান,বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের সহজে সনাক্ত করণে শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল ৬০টি সিসি ক্যামেরা। বর্তমানে বিভিন্ন ক্যামেরা ভেঙ্গে গেছে। বাকিগুলো অকেজো। যার কারণে শহরে অপরাধমূলক কোন ঘটনা ঘটলেও তা সহজে সনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ।
সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হত থানা থেকে। এজন্য সৈয়দপুর থানায় ছিল একটি নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ ফইম উদ্দিন জানান, ২০১৭ সালে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা ও পৌর প্রশাসন এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পুরো শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগানো হয়েছিল ৬০টি সিসি টিভি ক্যামেরা। বিভিন্ন কারণে সিসি ক্যামেরাগুলো এখন অচল। তবে এগুলো সচলের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
সমাজসেবক ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর আকতার হোসেন ফেকু জানান, বিদ্যুতের পোলগুলো এখন বিভিন্ন কোম্পানির তারে ভরপুর। কোন কোন পোল দেখলে মনে হয় এটি বৈদ্যুতিক পোল নয়। তারে ভরপুর এ পোলগুলো অনেক সময় বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনে।
সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির নেতা সেকেন্দার আলি বলেন, সিসি ক্যামেরাগুলো দ্রুত সময়ে সচল করা প্রয়োজন। এতে শহরে অপরাধীরা কিছুটা হলেও অপরাধ করতে ভয় পাবে। তিনি বলেন এখন দেশের প্রায় প্রতিটি শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ন্ত্রিত।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নূর-ই -আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে। অতি স্বল্প সময়ে শহরকে আবার সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে।