বড়াইগ্রামে মাথা থেতলে স্কুল ছাত্রকে হত্যা : মুল অভিযুক্ত গ্রেফতার

এফএনএস (আপন; বড়াইগ্রাম, নাটোর) : | প্রকাশ: ২৭ জুন, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
বড়াইগ্রামে মাথা থেতলে স্কুল ছাত্রকে হত্যা : মুল অভিযুক্ত গ্রেফতার

বড়াইগ্রামে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১২ বছর বয়সের এক শিশুর হাতে মিনহাজ হোসেন আবির (৯) নামে আরেক শিশু খুন হয়েছে। ইট দিয়ে মাথা থেতলে শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করে অভিযুক্ত অপর শিশু হযরত আলী। শুক্রবার সকালে হযরত আলী (১২) কে গ্রেফতার করে হত্যার মুল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বনপাড়া পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন নির্মাণাধীন মসলা মিলের ফাঁকা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবির উপজেলার মহিষভাঙ্গা মহল্লার কাতার প্রবাসী মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। অভিযুক্ত হযরত আলী একই গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। সে মহিষভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের তথ্য জানান। 

নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে আবির তার বাবার ব্যবহৃত স্মার্টফোন ও তার বাইসাইকেলটি নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সন্ধ্যায় তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাতে স্বজনরা পাশের মসলা মিলের ফাঁকা মাঠে প্রথমে তার রক্তমাখা বাইসাইকেল ও স্যান্ডেলসহ আবিরের মাথা থেতলানো লাশ পান। 

থানা ও প্রেস ব্রিফিং সুত্রে জানা যায়, বিকালে আবির ও হযরত এক সঙ্গে বসে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছিল। এ সময় খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সাইকেল ফেলে রেখে কিছুদুরে গেলে হযরত পাশে পড়ে থাকা ইট দিয়ে আবিরের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে হযরত তাকে পাশেই ভ্ট্টুার শুকনা গাছের পালার নীচে লুকিয়ে রেখে মোবাইলটি নিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সকালে পুলিশ হযরতকে গ্রেফতার করলে সে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য জানায়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই বাড়ি থেকে আবিরের মোবাইলটি জব্দ করা হয়।  

নিহতের পিতা মিলন হোসেন জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর থেকে ছেলেটা বেশির ভাগ সময় আমার সাথেই থাকতো। গতকাল মোবাইল ও সাইকেল নিয়ে সে ঘুরতে যায়। আমি বাড়িতে থেকেও আমার সন্তানকে নিরাপদ জীবন দিতে পারলাম না এ দু:খ আমি রাখি কোথায়?

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। শুক্রবার ওই শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের লাশের শুক্রবার ময়নাতদন্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে