ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে বাবুই পাখির ছানা হত্যা

এফএনএস (ঝালকাঠি) : | প্রকাশ: ২৮ জুন, ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে বাবুই পাখির ছানা হত্যা

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যা করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। শুক্রবার বিকালে একদল পাষন্ড ব্যক্তি এলাকার একটি বিশাল তালগাছ কেটে ফেলে। গাছটিই ছিল শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ও প্রজননের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল। স্থানীয়রা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এব্যাপারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষন আইনের মামলা করা হবে। ঝালকাঠি প্রতিনিধি  এস এম রেজাউল করিম এর পাঠানো প্রতিবেদন ।

প্যাকেজ: গুয়াটন গ্রামের মোবারেক আলী ফকিরের মালিকানাধিন জমির পাশের সরকারি সড়কের তালগাছটিতে দীর্ঘদিন ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। এ গাছে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। গাছটি  মোবারেক আলী ফকির মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। তালগাছটি কাটার ফলে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছানা ও ডিম ধ্বংস হয়ে যায়। এই বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী মর্মাহত হয়ে পড়েন । স্থানীরা বলছেন  এই তালগাছটি শুধু একটি গাছ ছিল না, ছিল একটি প্রাণী বৈচিত্রের কেন্দ্র ছিল। যারা এই কাজ করেছে, তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। সচেতন মহল অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে।

ভক্সপপ: স্থানীয়রা

ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন মোবাইল ফোনে বলেন  বলেন, ‘ এ বিয়ষটি আমরা জেনে বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। এ্যাপারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইনে মামলা করা হবে।

শট: ফারহানা ইয়াসমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঝালকাঠি সদর।

পে-অপ: বাবুই পাখি বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য উপকারী ও সংরক্ষিত একটি প্রজাতি। তাদের বাসা তৈরি করার নান্দনিকতা ও সামাজিক আচরণ পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত। এ ধরনের বর্বরতা শুধুমাত্র জীববৈচিত্র্য ধ্বংসই নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে