ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ছয়লেন মহাসড়কের দাবিতে বিক্ষোভ

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ছয়লেন মহাসড়কের দাবিতে বিক্ষোভ

ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয়লেন বিশিষ্ট মহাসড়ক নির্মাণ এবং বরিশাল-বাউফল সড়কের অসমাপ্ত নেহালগঞ্জ ও গোমা সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে রোববার (২৯ জুন) দুপুরে এ সমাবেশের আয়োজন করে বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির নেতৃবৃন্দরা। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনের চাঁপ পূর্বের চেয়ে তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ে থাকলেও সেখান থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯৫ কিলোমিটার সড়ক এখনো দুই লেনের। এতে প্রতিদিন ভয়াবহ যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, বরিশাল-বাউফল সড়কের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নেহালগঞ্জ ও গোমা এখনো অসমাপ্ত। ফলে বরিশালের সাথে পটুয়াখালী, বাউফলসহ উপকূলীয় এলাকার আন্তঃজেলা যোগাযোগ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি উন্নয়নের গতি থমকে দিচ্ছে।

সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর সুফল থেকে এখনো বঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। একদিকে গড়িমসি, অন্যদিকে প্রকল্প বাতিল ও স্থবিরতা এই এলাকার উন্নয়নে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, নদীঘেরা অঞ্চলটি যুগ যুগ ধরে অবহেলিত। মহাসড়ক প্রশস্ত না হওয়ায় শিল্পায়ন হয়নি, বাড়েনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আমরা চাই ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছয়লেনে উন্নীত করার পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু দুইটির নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান, সদস্য নজরুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হাওলাদার, সমাজকর্মী কামরুন নাহার বেগম, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

স্মারকলিপি গ্রহণের পর বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। স্মারকলিপি দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম জানান, গোমা সেতুর কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং নেহালগঞ্জ সেতু নিয়েও মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।