পীরগঞ্জে ৪ টি দপ্তরে জনভোগান্তী চরমে

এফএনএস (মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান; পীরগঞ্জ, রংপুর) : | প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
পীরগঞ্জে ৪ টি দপ্তরে জনভোগান্তী চরমে

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পৃথক ৪ টি দপ্তরে জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। একই কর্মকর্তা  পৃথক ওই ৪ টি দপ্তরের দায়িত্বে থাকায় এসব দপ্তরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে এসব দপ্তরে সেবা নিতে আসা জনমানুষের ভোগান্তী কয়েকগুন বেড়েছে। দপ্তরগুলো হচ্ছে-পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ,পীরগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়,সহকারি কমিশনার(ভুমি) এর কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। এসব দপ্তরে গুরুত্বপুর্ন কাজের জন্য প্রত্যন্ত জনপদ থেকে আসা লোকজন প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উল্লেখ্য,দেশের রাজনৈতিক শ্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দেয়া হয়। সঙ্গত কারনেই ওই দপ্তরের  কাজগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব এসে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর। এর পর পরই পৌরসভাগুলো বাতিল করে দেয়ায় পৌরসভার মতো জটিল বিভাগের কাজও এসে পড়ে ওই একই কর্মকর্তার উপরে। গত বছরের শেষের দিকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) তকী ফয়সাল তালুকদার দেশের বাইরে চলে যান। যে কারনে সহকারী কমিশনার ভুমি’র দায়িত্বও কাঁধে চাপে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপরে। এছাড়া নিজের দায়িত্ব তো রয়েছেই। আর এই দায়িত্বে রয়েছেন খাদিজা বেগম। উপরন্ত গত সপ্তাহে নতুন করে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িতও্ব তাঁর কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্নিত চারটি বিভাগের গুরুত্বপুর্ন ও জটিল কাজগুলো একযোগে দেখাশোনা করা এবং মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা উক্ত কর্মকর্তার উপর অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। একার পক্ষে এত চাপ সামলানো কঠিন হওয়ায় তিনি নাকি প্রায় সময়ই বিভিন্ন কাজে আসা লোকজনের সাথে অসদাচরন করে থাকেন। অনেকের ফাইল দিনের পর দিন পড়ে আছে। বিশেষ করে সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসের শত শত ফাইল আটকে আছে আমলাতান্ত্রিক এই জটিলতায়। যে কারনে সংশ্লিষ্টরা অবর্ণণীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মাসের পর মাস অনেকের ফাইল পড়ে আছে উক্ত দপ্তরে। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতার পড়ে আছে কয়েকমাস ধরে। শুধুমাত্র একটি স্বাক্ষরের অভাবে। দেন দরবার করতে গেলে বকাঝকা খেতে হচ্ছে। অনেক ফাইল দিনের পর দিন পড়ে থাকায় ফাইলের স্তুপ জমে গেছে। এতে অবশ্য সুযোগ নিচ্ছেন উক্ত দপ্তরের অধস্তন কর্মচারিরা। অভিযোগ রয়েছে ,তারা নগদ নারায়নের বিনিময়ে অনেক ফাইল পার করে নিচ্ছেন নিজ নিজ কৌশলে। অথচ এসব অভিযোগ উক্ত কর্মকর্তার কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অনেক কাজ। চলতি মওসুমে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন,টি আর কাবিটাসহ শতশত প্রকল্প না দেখেই সই করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। পৌরসভায় মেয়ন না থাকায় এ মওসুমে মশা নিধনের কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। অবশ্য বিল ভাউচারের কাজ বাকি নেই। নির্মান কাজগুলোতে শুভংকরের ফাঁকি চলছে। বালুয়া হাটের আন্তঃ রাস্তা নির্মানে ৮/৯ এর ভাগে কাজ করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী রহস্যজনক কারনে নমনীয়। তাছাড়া রাস্তার কাজও নিম্ন মানের। নির্মিত রাস্তার মাঝখানে পানি জমে খাকে। বিষয়টিগুলোতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারক মহলের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী মহল।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে