অতীব জরুরি সার্ভিস ঘোষণা সত্ত্বেও এনবিআর কর্মকর্তাদের শাটডাউন অব্যাহত রাখার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
অতীব জরুরি সার্ভিস ঘোষণা সত্ত্বেও এনবিআর কর্মকর্তাদের শাটডাউন অব্যাহত রাখার ঘোষণা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের সমাধান এখনও মেলেনি। বরং আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘মার্চ টু এনবিআর’ এবং পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন অব্যাহত থাকবে। এতে দেশের রাজস্ব আহরণ, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম এবং বাজেট বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের একাংশ।

রোববার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব এবং অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, সরকার একতরফাভাবে এনবিআরের সব স্তরের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করেছে, যা আমাদের যৌক্তিক দাবি এবং বাস্তব সংকটের প্রতি চরম উদাসীনতা ও অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার আলোচনার আহ্বান জানালেও সরকার প্রশাসনিক দমননীতির আশ্রয় নিচ্ছে। এনবিআর পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংস্কার নিয়ে আমাদের ১১ দফা যৌক্তিক দাবি রয়েছে। অথচ কোনও সমাধান ছাড়াই আমাদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধে দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস এবং শুল্ক স্টেশনেও শাটডাউন কর্মসূচি বহাল থাকবে।

তারা সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন, যেন সরকার আলোচনার টেবিলে বসে সমাধানের পথ খুঁজে বের করে। নেতাদের বক্তব্য, যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহারে প্রস্তুত। কিন্তু দমন-পীড়ন চালিয়ে এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন থামানো যাবে না।

উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে একই দিন বিকালে সরকার এক বিবৃতিতে এনবিআরের আওতাধীন সব স্তরের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেই ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে