পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত গন শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত কিংবা সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা দিয়ে নিয়ে লিখিত বা সরাসরি মৌখিকভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন। বুধবার ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গণ শুনানির কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। গণশুনানির আয়োজন ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীদের কথা শুনেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা। অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাঁকে নিজ দপ্তরে বসে গণ শুনানির কার্যক্রম পরিচালিত করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা। এর ফলে এলাকার ভুক্তভোগীরা ছোটখাটো বিরোধ থানা কিংবা আদালতে না যেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে গনশুনানিতে উপস্থিত হয়ে সমস্যার সমাধান করে ফেলছে। উপজেলার চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া গ্রামের নীলতি গ্রামের তারিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত গণশুনানির মাধ্যমে স্থানীয় বিরোধী মীমাংসা সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের থানায় কিংবা আদালতে যাওয়া লাগবে না।আমরাজুরী ইউনিয়নের কুমিয়ান গ্রামের আল আমিন হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গণ শুননির ফলে আমাদের এলাকার বিভিন্ন ধরনের বিরোধ ফয়সাল হচ্ছে। এতে আমাদের কোন টাকা পয়সার খরচ হচ্ছে না। ভুক্তভোগী আলেয়া বেগম জানান,যদি আমরা এলাকায় বিরোধ থানায় কিংবা আদালতে যেতাম তাহলে বিরোধ মীমাংসা হতে দীর্ঘদিন লাগলো এবং অনেক টাকা খরচ হতো। নিয়মিত গণশুনানির বিষয় কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, নির্দিষ্ট করে প্রতি বুধবার গণ শুনানির মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন ধরনের বিরোধ মীমাংসা করি। তাছাড়া দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত পরিসর হলেও এলাকার ছোটখাটো মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।