কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কলেজ ছাত্র জামসেদুর রহমান মিয়াজি জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় ১১ মাস পর সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হককে প্রধান আসামি করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০ জনসহ মোট ১২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের চাচা মোঃ আইয়ুব মিয়াজী।
জানা যায়- নিহত জামসেদুর রহমান কুমিল্লার সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলো এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছিলেন। গত ৫ আগস্ট সকালে জামসেদ চৌদ্দগ্রামে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি চালায়, ফলে জামসেদুর রহমান নিহত হন। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার আসামীরা হলো- মজিবুল হক (৮৫), রহমত উল্লাহ বাবুল (৫৫), বিপ্লব (৫০), সোহেল (৩৫), আঃ হালিম (৫৫), জুবায়ের হোসেন শুভ (৩০), মোঃ শাহীন (৪৫), তোফায়েল (৫৬), মোশারফ (৩৫), আলী হোসেন লিটন(৪৫), হারুনুর রশিদ মাসুম (৪২), রাকিব (৩৫), গাজী শহিদ (৫৫), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (৫৮), কাজল (৪৫), ইমান আলী (৪৫), নায়ক ইউসুফ (৫০), তুরাজ মজুমদার (৩০), আরশ মজুমদার (৫০), আলমগীর মেম্বার (৫০), নুরুল হুদা ফকির (৫০), মোঃ একরামুল হক (৪০), কাজী মাসুম বিল্লাহ (৩৫), পারভেজ (৪০), ফখরুল ইসলাম মেহরাজ (৩৫), নুর উদ্দিন রাজীব (৪০), জাহিদ হোসেন টিপু(৫৫), মহিবুল আলম কানন মজু(৫৫), রহমান, দ্বীন মোহাম্মদ সোহাগ (৩৫), শামীম (৪০), জিহাদ হোসেন জাবেদ (৪৫), সাজ্জাদ (৩৫), লেয়াকত উল্লাহ সাগর (৩৫), মাইন উদ্দিন দিপু (৩৫), জামাল হোসেন (৫০), হাফেজ বেলাল (৫০)সহ অজ্ঞাত নামাসহ ১২২ জন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, এবং জামসেদুর রহমানের পরিবার তার ন্যায়বিচারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, মামলাটি সোমবার রাতে আইয়ুব মিয়াজী বাদী হয়ে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১২২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়।