চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মহাযোগী শ্রী শ্রী ব্রজেন্দ্র নন্দন বাবাজীর ১১৭তম আর্বিভাব উৎসব আগামী শুক্রবার (৪ জুলাই) থেকে শুরু হবে। এ উপলক্ষে বাবাজী সাধনাপীঠ ভজন কুঠির আশ্রমে ভজন কুঠির পরিচালনা পরিষদ তিন দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, মাতৃসম্মেলন, ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতিনৃত্য আলেখ্য, বাবাজীর মাহাত্ম্য সূচক সাময়িকী প্রকাশ, বাবাজীর জীবন ভিত্তিক আলোচনা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ।
ভজন কুঠির চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগামী শুক্রবার (৪জুলাই) ব্রজেন্দ্র পূজার মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হবে। পর পর ভজন কুঠির সংস্কৃত একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে শ্রীমদ্ভভগবদগীতা পাঠ,মাতৃসম্মেলন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, বেদ ও শ্রীমদভগবদগীতাপাঠ প্রতিযোগীতা, ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান ও নৃত্য। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সঙ্গীত পরিচালক টিটু বড়ুয়ার পরিচালনায় গীতিনৃত্য আলেখ্য মহাযোগী ব্রজেন্দ্র নন্দন এলো জগত কল্যানে। সন্ধ্যায় বাবাজীর যোগজীবন নিয়ে আলোচনা, বাৎসরিক সাময়িকী ব্রজেন্দ্র জ্যোতির মোড়ক উন্মোচন, ভজন কুঠির মানবিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক শিক্ষা উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ। রাতে মহনামযজ্ঞের শুভ অধিবাস। শনিবার (৫ জুলাই) ব্রক্ষমূহুর্তে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের শুভারম্ভ। এত নামসুধা বিতরন করবেন রামগৌবিন্দ সম্প্রদায়( কুমিল্লা),. দয়াল ঠাকুর সম্প্রদায়( চট্টগ্রাম), গৌর সুন্দর সম্প্রদায় (ফরিদপুর) ও গিরিধারি সম্প্রদায় (চট্টগ্রাম)। ব্রজেন্দ্র পূজা, বাবাজীর ভোগরাগ, মহাপ্রসাদ বিতরণ ও রাতে লীলা কীর্তন। রোববার( ৬ জুলাই) ঊষালগ্নে পূর্ণহুতি, কুঞ্জভগ্ন কীর্তিন, নগর পরিক্রমা ও নন্দোৎসবের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে। উল্লেখিত অনুষ্ঠান মালায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে যোগদানের জন্য ভজন কুঠির পরিচালনা পরিষদের পক্ষ বিশেষ ভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন করা হয়েছে।