দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকেরা আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার সুফল পেতে শুরু করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি প্রশিক্ষন, যান্ত্রিকীকরন ও পরিবেশ বান্ধব চাষ আবাদের মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের জীবন যাত্রার দৃশ্যমান পরিবর্তন। উপজেলার কৃষকেরা মাচিং পদ্ধতিতে চিচিংগা, করলা, লাউ ও বর্ষা কালে তরমুজ চাষ করে উল্লেখ্য যোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। এই পদ্ধতিতে মাটিতে আবৃত রেখে চাষাবাদ করা হয় ফলে জমির রোগ মুক্ত থাকে এবং সার পানি ও কীটনাশকের ব্যবহার অনেক কমে যায়। এতে করে একদিকে খরচ কমছে অন্যদিকে ফলনও বাড়ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হচ্ছে কৃষক মাঠ স্কুল। এসব স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষকেরা উন্নত জাত, সার ব্যবস্থাপনা, কীটনাশক ব্যবহারের কৌশল ও যান্ত্রিক কৃষি সম্পর্কে ধারনা নিচ্ছেন। ফলে কৃষকদের দক্ষতা যেমন বাড়ছে তেমনি লাভ জনক ভাবে ফসল চাষ করে জীবনে আনছেন ইতিবাচক পরিবর্তন।
দুই তিন বছর আগে কাহারোল উপজেলার কৃষকেরা অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করতেন। কিন্তু এসএসিপি রেইঞ্জ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা মূলক কর্মসূচীর ফলে এখন অধিকাংশ কৃষক জৈব সার ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয় নিজেরাই জৈব সার উৎপাদন করে বাড়তি আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। কৃষকেরা উন্নত বীজ, সেচ ও পলিনেট হাউস ব্যবহারের কারনে ফসলের গুনগত মান ও ফলন দুটোই বেড়েছে। যান্ত্রিকীকরনের ফলে কমেছে উৎপাদন খরচ। কৃষকেরা জৈব সার ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা পাচ্ছে পাশাপশি কমছে পরিবেশ দূষন দীর্ঘ মেয়াদে এটি টেকসই কৃষির জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। কৃষকদের বাড়তি উৎপানদ ও বাজারে ভাল দাম পাওয়ার ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব প্রভাব পড়ছে তাদের জীবন যাত্রা সন্তানদের শিক্ষা, ঘরবাড়ীর মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সেবায় খরচ বাড়ছে, যা সামাজিক উন্নয়নেরই পরিচায়ক।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, “কৃষকদের সেবা দিতে মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা নিরলস পরিশ্রম করছেন। সরকারের পাশাপশি বে-সরকারী সংস্থা গুলোর সমন্বয়ে কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে”। তিনি আর বলেন, “উৎপাদন খরচ কমিয়ে অধিক ফলন নিশ্চিত করতে কৃষকদের আধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।