শরীয়তপুরে দেলোয়ার হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ৩ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম | প্রকাশ: ৩ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
শরীয়তপুরে দেলোয়ার হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

পূর্ব শত্রুতার জেরে শরীয়তপুরের পালং উপজেলার পশ্চিম চররোসুদ্ধি গ্রামে যুবক দেলোয়ার হোসেন সরদারকে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ১২ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিজানুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ইসমাইল সরদার, ছালমুল সরদার, আমিনুল সরদার, রেজাউল সরদার ও জুয়েল সরদার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মজিবর সরদার, ফজলুল সরদার, আ. মালেক সরদার, মোকলেছ সরদার, মাহাবুব সরদার, তোতা সরদার, টিপু সরদার, পারচেজ সরদার, আ. ছালাম সরদার, পাভেল সরদার, আজিজুল হক সরদার ও পারুল বেগম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই রাতে দেলোয়ার হোসেন সরদার ও তাঁর ভাই দুলাল সরদার সুবচনী বাজার থেকে ইজিবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পশ্চিম চররোসুদ্ধির পাকা সড়কে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে ৩১ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আসামি তাদের গতিরোধ করে। দেলোয়ারকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে লোহার রড, হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। দুলাল সরদার ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধর করা হয়। এ সময় দেলোয়ারের ভাগনি পারভীন আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তাকেও মারধর করা হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন দেলোয়ার ও তাঁর স্বজনদের প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দেলোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানেই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার দুই দিন পর অর্থাৎ ১৪ জুলাই নিহতের বাবা সালাম সরদার পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা (পিবিআই)-এর পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচার চলাকালে মামলার এক আসামি মারা যান।

মামলায় মোট ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন। তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী সৈয়দ নাজমুল হুদা ও আতিয়ার কাজী।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে