টাকা উত্তোলনের সময় সেনেটারী ইন্সেপেক্টর আটক

এফএনএস (সিকান্দার আলী কাবুল; খানসামা, দিনাজপুর) :
| আপডেট: ৩ জুলাই, ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম | প্রকাশ: ৩ জুলাই, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
টাকা উত্তোলনের সময় সেনেটারী ইন্সেপেক্টর আটক

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার জিয়া সেতুর পশ্চিম পার বাজার এলাকায় ২ জুলাই রাত ৮ টা থেকে সেনেটারী ইন্সেপেক্টর পরিচয় দান কারী এনামুল হক প্রতিটি দোকান ও হোটেল মালিকের নিকট থেকে রশীদ ছাড়াই মিতু হোটেল মালিককে ১৫০০/পনেরশত টাকা জরিমানা সহ মোট ১৯০০/টাকা আদায় করে। এ সময় কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন না।

এ ছাড়া ও একাধারে মুদি দোকানদার আব্দুল হাসিম এর নিকট ৭০০/ সাতশত টাকা ,পান দোকানদার রহিদুল ইসলাম এর নিকট ৭০০/সাতশত টাকা ,ফল ভান্ডার তরীকুল এর নিকট ৭০০/সাতশত টাকা , ভোজন বিলাশ হোটেল হতে ২৫০০/পচিশ শত টাকা ,মায়ের দোয়া হোটেল থেকে ৩৮০০/তিন হাজার আটশত টাকা ,কাকলী হালিম ঘর হইতে ১৫০০/পনের শত টাকা ,ভাই ভাই হালিম ঘর হতে ১২০০/বারশত টাকা ,হাচান আলী মিষ্টি ভান্ডার হতে ১৬০০/ষোলশত টাকা উত্তলন করে। 

এক পর্যায়ে কিছু দোকানদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ইন্সেপেক্টর দোকানদার এর উপরে চড়াও হলে , দোকানদারগণ তাকে আটকে রেখে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে এনামুল হককে থানায় নিয়ে যায়। 

টাকা উত্তলনের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাব জানিয়েছেন ,এভাবে  রাতের বেলা দোকান ও হোটেলে জরিমানা ও অন্য কোনো ভাবে টাকা গ্রহণের নিয়ম নেই। খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ নজমুল হক দোকান মালিকদের জিজ্ঞাসা করিলে উক্ত অনিয়মের প্রমাণ পান।

পরিশেষে দোকান মালিকদের নিকট থেকে উত্তলন কৃত টাকা সেনেটারী ইন্সেপেক্টর এর নিজ হাত দিয়ে ফেরত প্রদান করা হয়।ভবিষ্যতে  এই রুপ কাজ না করার শর্তে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থানা থেকে চলে যান। এ বিষয়ে ভোজন বিলাশ হোটেল মালিক মোঃ আবু সাঈদ মুফতি খানসামা থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে