শৈলকুপার ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন

এফএনএস (মফিজুল ইসলাম; শৈলকুপা, ঝিনাইদহ) : : | প্রকাশ: ৫ জুলাই, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
শৈলকুপার ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন

শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র - বরিয়া কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। প্রায় ৩ কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, কাঁচা এই রাস্তায় ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।উপজেলার ধলহরাচন্দ্র প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে হাঁটুভাঙা চরধলহরা হয়ে বরিয়া  বালিকা বিদ্যালয় পযন্ত এই ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখন খুবই নাজুক পর্যায়ে আছে। ওই এলাকার মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন সাধারণ মানুষ ও শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। চরধলহরা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক বিশ্বাস জানান, বর্ষার সময় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানি জমে এই রাস্তায়। এতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে থাকে। তাছাড়াও কৃষকের কৃষি পণ্য বিক্রি করার জন্য হাটে বাজারে নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়  অনেক সময় ২০ টাকার ভাড়া ১শ টাক দিতে হয় ঘোড়ার গাড়ির মালিককে। রশিদ মন্ডল জানান বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া যায় না বিনা চিকিৎসায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যাওয়া  বন্ধ করে দেয়। আর গ্রিষ্মের সময় ধুলোবালি, নোংরা-আবর্জনা ও খানাখন্দে পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন। হাঁটুভাঙা গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান  রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পথচারীরা। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক। রাস্তা পাকা হলে অবহেলিত এলাকাটিতে আসবে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন। কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। এব্যাপারে ৮নং ধলহরাচন্দ্র  ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুলি খাতুন বলেন, রাস্তাটি অনেক ঝুকিপৃর্ণ। এটি পাকা হলে ৫গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ থেকে বাঁচবে। এ বিষয়ে এলজিইডির শৈলকূপা  নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম  বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে