ইমামতি কেবলই এটা পেশা নয়, এটা ঈমানী দায়িত্ব। ইমামরা দুর্বল বলে ঐক্যবদ্ধ নয়। তাই সাধারণ মানুষ সামাজিক বিচারের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে যায়। অনেক নেতা তাদের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে সামাজিক বিচার ফায়সালা করে। যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী পিরোজপুর জেলা ইমাম সমিতির ষান্মাসিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতের মনোনীত এমপি প্রার্থী জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ইসলাম চর্চায় বাধা দেওয়া হতো। জোর করে ইমামদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এখন ইমামরা স্বাধীনভাবে ইসলাম চর্চা করতে পারবে। এ কাজে কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মানজনক বেতন ও আবাসন ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ইমামদের চাকুরী বিধিমালাসহ চাকুরী জাতীয়করণ করতে হবে। কেননা, ইমামদের সুন্দর জীবন হলে আমাদের সমাজ আলোকিত হবে।
সম্মেলনে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের বিষয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, ইসলামে তাওহীদের পরে মুমিনদেরকে যে ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি তাগিদ দেওয়া হয়েছে তা হলো ঐক্য। ঐক্যবদ্ধভাবে জীবনযাপন করা মুমিনের অপরিহার্য কর্তব্য।
ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠায় এ দেশের ইসলাম পন্থীদের টেকসই ঐক্যের জন্য চেষ্টা চলছে। যা কিছুই হোক না কেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে ইসলামকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনা সম্ভব। আজকে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামদের হাতে অনেক বড় সুযোগ এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। দেশবাসী আগামী নির্বাচনে প্রতিটি সংসদীয় আসনে ইসলামপন্থীদের একজন প্রার্থী, একটি বাক্স দেখতে চায়।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মামুনুর রশীদ, জাতীয় ইমাম সমিতির পিরোজপুর জেলার প্রধান উপদেষ্টা তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, উপদেষ্টা জহিরুল হক, বরিশাল বিভাগীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই নিজামী, সেক্রেটারী হাফেয মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।