যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে জানিয়েছেন, ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সঙ্গে একটি শুল্কসংক্রান্ত চুক্তি করতে আগ্রহী, যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
ফেসবুকে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধিদলে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও।গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠি পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে জানানো হয়েছে-আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক চুক্তি করতে আগ্রহী ঢাকা, যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক সমাধান হবে আমরা আশা করি।’
বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার (৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানিয়ে লেখা চিঠিটি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করেন তিনি। এর আগে এ শুল্কের হার ছিল ৩৭ শতাংশ।
গত ৩ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতো।